নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া বাবুচ্ছুন্নাৎ এতিমখানায় এতিমের টাকা নয়,ছয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এতিমখানা কমিটির নামে।
৩০/ মার্চ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,এই এতিমখানাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল,বন্ধ কালীন সময়ে এতিমখানা কর্তৃপক্ষ,ওই এতিমখানায় এতিম না থাকা সত্ত্বেও লোহাগড়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে ২০ জন এতিমদের টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।
পরবর্তীতে এই মার্চ মাসে আবারও ২০ জন এতিমের টাকা উত্তোলন করেছেন এতিমখানা কমিটির আবু হানিফ।
ওই এতিমখানায় সাংবাদিকরা গেলে সেখানে ৫/থেকে ৭ জন কিশোরের দেখা মিলেছে, মাদ্রাসার কয়েক জন শিক্ষক বলছেন এরা সবাই এতিম ছাত্র,কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় তারা সকলে এতিম না।
এসময় এতিমখানা সংলগ্ন চাপুলিয়া দাখিল মাদ্রাসা অবস্থিত কিশোরদের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলে বাবুচ্ছুন্নাৎ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ বাবুল মোল্ল্যা তিনি সাংবাদিকদের দেখে তেড়ে এসে অশ্লীল ভাষায় কথা বার্তা বলেন, এবং উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
আরও জানা যায় ওই শিক্ষক বাবুল কোটাকোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন,এবং বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির ইউনিয়ন সহ সভাপতির পদে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন ১৫ বছরের মত ওই মাদ্রাসায় বহাল তবিয়তে এবং প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকতা করছেন বাবুল।
স্থানীয় একজন মুরুব্বী জানান বাবুল ও তার স্ত্রী একই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন।
ওই এতিমখানার পরিচালক মোঃ আবু হানিফ এর সাথে কথা বলে তার কাছে সাংবাদিকরা এতিম ভর্তি রেজিস্ট্রার দেখতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রার দেখাতে পারেন নাই, এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কোনো বক্তব্যও দিতে রাজি হন নাই।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শামিম রেজা সাংবাদিকদের জানান তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।